বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন

ব্যাক্তিগত আলাপ – নীনা চৌধুরী

ব্যাক্তিগত আলাপ – নীনা চৌধুরী

একজীবনে একজন মানুষ কত রুপ ধারণ করে।সব রুপে মানুষ কখনো স্বার্থক হয়না।

যে শিশুটি ছোট্ট বেলায় অনেক লক্ষী থাকে।কৈশোরে বা যৌবনে এসে অতি চঞ্চলতায় বাবা মাকে জ্বালিয়ে মারে।

যৌবনে যে পাড়া জ্বালিয়ে ছাড়ে। কর্ম জীবন বা সংসার জীবনে সে অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে নিয়ে চলে।
আবার শান্ত ভদ্র ছেলে বা মেয়েটির সংসার জীবনও কখনো হয় ছন্নছাড়া।

যে অসাজিক মানুষটিকে সবাই বখাটে বলে গালি দেয়।সেই মানুষটিও আদর্শ বাবা হয়।আাবার যাকে সবাই অনুকরণীয় আদর্শ মানুষ ভাবে।সংসারে স্ত্রী সন্তানের কাছে সে আদর্শ মানুষ নাও হতে পারে।

হুমায়ুন আহমেদের লেখা পছন্দ করেন না। সমাজে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অথচ তার প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খানের কাছে স্বামী হুমায়ুন আদর্শবান ছিলেন না। কিন্তু সুশিক্ষিত গুলতেকিন একজন আদর্শ মা।
হুমায়ুন কেমন বাবা ছিলেন?
সন্তানদের মুখে ডাকঢোল বাজিয়ে শুনা না গেলেও আমরা কিছুটা নির্ভুল আন্দাজ করতে পারি।দেশখ্যাত একজন লেখকের সন্তান তার মত মেধাবী হবেন। এটাই স্বাভাবিক। লেখকপুত্র নুহাশ হুমায়ুন তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

তাছাড়া একটু পিছনে ফিরে গেলেই আমরা শিলা আহমেদের অভিনয় প্রতিভার লালিত্য দেখতে পাই

কিন্তু কথিত আছে হুমায়ূন আহামেদের অসম প্রেম আর বিয়ে মেনে নিতে না পেরে শিলার মত একজন চমৎকার প্রতিভা অকালেই ঝরে পড়েছে। এই ক্ষেত্রে প্রেমিক হিসাবে সফল হলেও
স্বামী বা পিতা হিসেবে তিনি দারুণ ব্যর্থ।

তাই মানুষের স্বার্থকতার মাপকাঠি কি,আজো তা জানা যায়নি।অথবা সেই দাঁড়িপাল্লা এখনো তৈরি হয়নি।
তবে আমার কাছে মানুষের জীবনের স্বর্ণালি সময়টা হলো ৩০ থেকে ৫০। এই সময়টা কর্মময়তায় মুখরিত।

এই সময়কে সততা, শ্রম আর মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে সাথে জনকল্যাণমুখী কিছু কাজ করে স্বার্থক করে তোলা যায়।সেই সাথে নিজের পার্থিব জীবনে বা পরকালকেও সমৃদ্ধ করা যায়।
এই বক্তব্য একান্ত আমার ব্যক্তিগত মতামত। আমার সাথে সবাই সহমত পোষণ করবেন। এমনটা নয়।
শুভকামনা সবার জন্য।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD